ইরান ও আমেরিকার মধ্যে সম্ভাব্য আলোচনার প্রক্রিয়া থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান। সম্প্রতি আমিরাতের প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাস একটি সরকারি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ইরান সফর করেন এবং ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচির সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লেখা একটি চিঠি ইরান সরকারের কাছে হস্তান্তর করেন, যা সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে পাঠানোর জন্য দেয়া হয়। তবে আমিরাতের মাধ্যমে এই চিঠির উত্তর পাঠাতে স্পষ্টভাবে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইরান। ইরান বলছে, আমিরাতকে তারা নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দেখছে না।

ইরানের এই অবস্থানের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরাইলের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক রসুল সালেমী। আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে আমিরাত ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে, যা ইরানের দৃষ্টিতে তাদের প্রধান শত্রুর সঙ্গে সরাসরি ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলার শামিল। তিনি আরোও মনে করেন, অতীতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে মধ্যস্থতার সফল উদাহরণ রয়েছে ওমানের, যারা দীর্ঘদিন ধরে এই ভূমিকায় সক্রিয়। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের এ ধরনের কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা প্রায় নেই বললেই চলে। এই প্রেক্ষাপটে তেহরান স্পষ্ট করে দিয়েছে—আলোচনার টেবিলে আবুধাবির কোনো জায়গা নেই, আমরা তাদের বিশ্বাস করি না’।

সুত্রঃ কালবেলা নিউজ।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/71teBMXnZ74?si=T0ARAS-ndonGkG0x

মোটিভেশনাল উক্তি 

By nasir

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *