সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৪৯ শতাংশ নিয়োগকর্তা জানিয়েছেন, দেশটিতে আসা অনেক বিদেশি কর্মী চাকরির নিয়োগপত্র ছাড়াই আসেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) নিয়োগবিষয়ক সংস্থা রবার্ট হাফ-এ প্রকাশিত সবশেষ গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

আমিরাতের সম্ভাবনাময়ী কর্মীর বাজারে লোভনীয় চাকরি পেতে অনেক বিদেশি ভিজিট ভিসায় (সাধারণত তিন মাসের ভিসা) মধ্যপ্রাচ্যের এই ধনী দেশটিতে চলে আসেন। এদের মধ্যে যারা ভাগ্যবান তারা চাকরি পেয়ে যান এবং নিয়োগকর্তা তাদেরকে কর্মী ভিসা (অ্যাম্প্লয়মেন্ট ভিসা) দিয়ে থাকেন। আর যারা কোন চাকরি খুঁজে পান না, তাদেরকে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে হয়। তবে কেউ কেউ দেশে ফেরত না গিয়ে কম বেতনের চাকরিতে ঢুকে পড়েন।

এর আগে, ২০২২ সালের অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি চাকরি খুঁজে নেয়ার লক্ষ্যে বিশেষ ভিসা (জব এক্সপ্লোরেশন ভিসা) চালু করেছিল। সেই সঙ্গে ছিল দেশটিতে তিন মাসের ভিসা নিয়ে অবস্থানের সুযোগ। সেই সময় আগত বিদেশি নাগরিকরা আমিরাতজুড়ে পছন্দনীয় চাকরি খুঁজে নেয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। দেশটির ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়ে যাওয়ায় এমনটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয় আমিরাত সরকার।

রবার্ট হাফের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক পরিচালক গ্যারেথ এল মেটোরি বলেন, ‘বিদেশি কর্মীদের জন্য অপেক্ষাকৃত ভালো আবহাওয়া, কর-মুক্ত উপার্জন এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ বহুসংস্কৃতির জীবনধারা নিশ্চিত করে দেশটি। এর ফলে অনেক বিদেশি কর্মীর কাছে মধ্যপ্রাচ্যের আকর্ষণীয় কর্মস্থল হয়ে উঠেছে আমিরাত। তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, আমিরাতে পৌঁছানো গেলে তারা সহজেই উচ্চ বেতনে চাকরি খুঁজে পাবেন।’

গ্লোবাল রিক্রুটমেন্ট কনসালটেন্সি জানিয়েছে, সম্প্রতি দেশটিতে বিদেশি কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেশটির নিয়োগকর্তাদের কম বেতনে ভালো কর্মী বেছে নেয়ার সুযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এক বছর আগে, এমন পরিস্থিতি ছিল না বলে জানায় সংস্থাটি।

চাকরির বাজার প্রসারিত হওয়ার ফলে দেশটির নিয়োগকর্তারা সহজের বিপুল সংখ্যক বিদেশি কর্মীর মধ্যে থেকে পছন্দনীয় কর্মী পেয়ে যাচ্ছেন। ৪৩ শতাংশ নিয়োগকর্তা বলেন,তারা এখন সহজেই ভালো কর্মী কম বেতনে খুঁজে পাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *