লাতিন অঞ্চলের ফুটবলে শারীরিক লড়াই ইউরোপ-এশিয়ার তুলনায় বেশি থাকে। যে কারণে ফাউলের ঘটনাও বেশি। একটু পরপর তাই রেফারিকে বাজাতে হয় ফাউলের বাঁশি। ব্রাজিল ও কোস্তারিকা ম্যাচেই যেমন ২৩ বার ফাউলের ঘটনা ঘটেছে।
প্যারাগুয়ে ও কলম্বিয়া ম্যাচে মোট ফাউলের বাঁশি বেজেছে ২৮বার। কানাডা ও পেরুর ম্যাচে ফাউলের বাঁশি বেজেছে ৩১বার। ওই তুলনায় আর্জেন্টিনা ও চিলির ম্যাচে ২১বার ফাউলের কল করেছেন রেফরি। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আর্জেন্টিনার ট্যাকলে ফাউল না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মজা করে ‘চিলির পা ধরে আর্জেন্টিনা জিতেছে’ এমন কথাও বলা হচ্ছে।
আর্জেন্টিনা ও চিলির ম্যাচে চিলি ৯বার ফাউলের শিকার হয়েছে। অন্য দিকে আর্জেন্টিনাকে চিলি ফাউল করেছে ১২বার। যদিও ম্যাচে বড় ফাউলের ঘটনাগুলোই ছোট করে দেখেছেন রেফারি। ম্যাচে চিলির ফুটবলারের পা টেনে ধরে ফাউল করেন আর্জেন্টিনার ফুটবলার।
পায়ের খেলা ফুটবলে হাতের ব্যবহার নেতিবাচকভাবে দেখা হয়। সেটা হাত দিয়ে পা টেনে ধরে ফেলে দিলে তো কথাই নেই। প্রীতি ম্যাচে স্পেনের ডিফেন্ডার কারভাহাল হাত দিয়ে বক্সে ব্রাাজিলের ফুটবলারকে ফেলে দেওয়ায় পেনাল্টি দেওয়া হয়েছিল। মজার বিষয় হলো- আর্জেন্টিনার ফুটবলার হাত দিয়ে পা টেনে ফেলে দিলেও কোন কার্ড পাননি। ডি পল চিলির খেলোয়াড়ের পায়ের ওপর পা তুলে দিলেও কার্ড পাননি। ম্যাচে আর্জেন্টিনা কাউকেই কার্ড দেখানো হননি। চিলি দুটি কার্ড দেখেছে।
যে গোলটা হয়েছে তা নিয়েও আছে গুরুতর রেফারিং অভিযোগ। লিয়ান্দ্রো মার্টিনেজ যখন গোল করেন তখন ডি পল গোল লাইন বরাবর দাঁড়িয়ে ছিলেন। যদিও বলের প্রতি তার কোন মুভমেন্ট না থাকায় তিনি নিয়ম অনুযায়ী অফসাইড নন। তবে মার্টিনেজ বলটা যার পা থেকে পান, ওই আর্জেন্টাইন ফুটবলার গোল লাইনে অফসাইড ছিলেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।