সৌদি মানবসম্পদ ও সমাজ উন্নয়ন মন্ত্রী আহমেদ আল-রাজি প্রবাসী কর্মীদের কাজের অনুমতিপত্রকে তিনটি প্রধান দক্ষতা বিভাগে শ্রেণীবদ্ধ করে একটি সিদ্ধান্ত জারি করেছেন। সেগুলো হলোঃ উচ্চ-দক্ষতা, দক্ষ ও মৌলিক।
এতে করে প্রবাসীদেরকে ক্লিনার ও লোডিং-আনলোডিংয়ের মতো উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন অথচ কম দক্ষতার পেশাগুলোতেও কাজ পাওয়া এখন আরো কঠিন হয়ে পড়ছে। কারণ সৌদি আরব এখন এসব খাতে তাদের ‘স্কিল ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম’ (এসভিপি) সনদ বাধ্যতামূলক করেছে। অর্থাৎ এখন থেকে চাকরি পেতে হলে অভিজ্ঞতা সনদ লাগবে। বাংলাদেশ থেকে উপসাগরীয় এই দেশটিতে কাজের খোঁজে যাওয়া মোট প্রবাসীদের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশই এই ২ পেশায় নিযুক্ত হন বলে জানিয়েছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো।
সৌদি শ্রমবাজারে বর্তমানে কর্মরত প্রবাসীদের জন্য বিদ্যমান কাজের অনুমতিপত্র এবং প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার আপগ্রেডের শ্রেণীবিভাগ ১৮ জুন থেকে শুরু হয়েছে। ১ জুলাই থেকে আগত প্রবাসী কর্মীদের জন্য এই শ্রেণীবিভাগ কার্যকর হবে।
মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্তের সমস্ত বিবরণ বর্ণনা করে একটি নির্দেশিকা ম্যানুয়াল জারি করেছে, যা তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
এই সিদ্ধান্তটি আরও আকর্ষণীয় এবং দক্ষ শ্রমবাজার গড়ে তোলা, মানব পুঁজি বিকাশ এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য মন্ত্রণালয়ের বিস্তৃত প্রচেষ্টার অংশ, যা সৌদি ভিশন ২০৩০ এবং জাতীয় রূপান্তর কর্মসূচির লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখবে।
এই পদক্ষেপের লক্ষ্য কর্মীদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা, সৌদি শ্রমবাজারে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা স্থানান্তর করার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রতিভা আকর্ষণ করা, পরিচালনা দক্ষতা উন্নত করা, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হওয়া এবং উদ্ভাবন এবং ব্যবসায়িক মডেলের উন্নয়নকে সমর্থন করে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা।
এই সিদ্ধান্ত যাচাইকরণ ব্যবস্থা উন্নত করবে এবং শ্রমবাজারে প্রবাসী কর্মীদের দক্ষতা-স্তরের বন্টনের আরও ভাল ব্যবস্থাপনা সক্ষম করবে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে কর্মীরা তাদের কাজের ভূমিকার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং যোগ্যতা অর্জন করে, সেরা আন্তর্জাতিক অনুশীলনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
মোটিভেশনাল উক্তি