তুরস্কের চতুর্থ বৃহত্তম শহর বুরসার আশেপাশে সপ্তাহান্তে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যার ফলে ৩,৫০০ জনেরও বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। সোমবার সকালে, আগুনের ধোঁয়া এবং ধোঁয়াটে পাতা শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

অসময়ে উচ্চ তাপমাত্রা, শুষ্ক আবহাওয়া এবং তীব্র বাতাস দাবানলের ইন্ধন জোগাচ্ছে, তুরস্ক এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরের অন্যান্য অংশে রেকর্ড ভাঙা তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে।

উত্তর-পশ্চিম তুরস্কের বুরসা শহরের বাইরে দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে, রবিবার রাতে দুই স্বেচ্ছাসেবক দমকলকর্মীর মৃ*ত্যু হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা আইএইচএ জানিয়েছে, বনের আগুনে যাওয়ার সময় পানির ট্যাঙ্কার থেকে নামানোর পর হাসপাতালে এই দম্পতি মারা যান। দুর্ঘটনার আগে ঘটনাস্থলেই আরও একজন কর্মী মা*রা যান এবং রবিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে একজন দমকলকর্মী মা*রা যান।

জুনের শেষের দিক থেকে তাদের মৃত্যুতে তুরস্কের দাবানলে মৃতের সংখ্যা ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে বুধবার উত্তর-পশ্চিম শহর এসকিসেহিরে আগুনে ১০ জন উদ্ধারকারী স্বেচ্ছাসেবক এবং বনকর্মী নি*হ*ত হয়েছেন।

গত এক মাসে বুরসার আশেপাশের আগুন দেশটিতে শত শত ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে একটি। দমকল বাহিনী সীমিত সংখ্যক বাড়ির ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও, বনের বিশাল অংশ ছাই হয়ে গেছে।

বনমন্ত্রী ইব্রাহিম ইউমাকলি বলেছেন, রবিবার তুর্কিয়ে কমপক্ষে ৪৪টি পৃথক অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তিনি বুরসা প্রদেশে দুটি অগ্নিকাণ্ডের পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিমে কারাবুক এবং দক্ষিণে কাহরামানমারাসে আগুনকে সবচেয়ে গুরুতর হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

সরকার দুটি পশ্চিম প্রদেশ, ইজমির এবং বিলেসিককে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করেছে। আগুনের সাথে সম্পর্কিত তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৩টিতে ৯৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করা হয়েছে, বিচারমন্ত্রী ইলমাজ টুনচ জানিয়েছেন।

 

মোটিভেশনাল উক্তি

By nadira

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *