৪৫ বছর বয়সে মেয়ের সঙ্গেই বিএ পাশ করলেন মা! এ বার লক্ষ্য এমএ-র সঙ্গে চাকরিরও। উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার সঙ্গীতা দে প্রমাণ করে দিলেন পড়াশোনার কোনও বয়স হয় না। জীবনের নানা বাধা পেরিয়ে ৪৫ বছর বয়সে মেয়ের সঙ্গেই স্নাতক হলেন তিনিও। উল্লেখ্য, এই গৃহবধূর স্বপ্নকে অক্সিজেন জুগিয়েছেন তাঁর দুই মেয়ে

শৈশব থেকেই সঙ্গীতার স্বপ্ন ছিল উচ্চশিক্ষা অর্জনের। কিন্তু ১৯৯৬ সালে মাধ্যমিকে গণিতে অকৃতকার্য হওয়ার পর তার পড়াশোনা থেমে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই বিয়ে, সংসার আর মাতৃত্বের দায়িত্ব এসে পড়ে কাঁধে। তবে মনে লুকিয়ে থাকা শিক্ষার ইচ্ছেটা কখনোই হারায়নি।

দীর্ঘ ২৪ বছর পর, স্বামীর উৎসাহে ২০১৯ সালে আবার নতুন করে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন সঙ্গীতা। রবীন্দ্র মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করার পর তিনি ভর্তি হন বেলঘড়িয়ার নন্দননগর আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। সেখানে মেয়ের সঙ্গেই ২০২২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দু’জনেই উত্তীর্ণ হন।

এরপর মা ও মেয়ে ভর্তি হন শ্যামবাজারের মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজে, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে। টানা ছয়টি সেমিস্টার পেরিয়ে এবার তাদের হাতে উঠেছে স্নাতক ডিগ্রির সনদ।

সঙ্গীতা দে বলেন, এটা আমার জীবনের স্বপ্ন ছিল। এবার ইচ্ছে রয়েছে মাস্টার্স করার। যদি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাই, এমএ পড়ব। তিনি আরও জানান, সংসারের পাশে দাঁড়াতে চাকরিরও খোঁজ করছেন।

অন্যদিকে, মেয়ে সোহেলী দে বলেন, মা-ই আমার সবচেয়ে বড় বন্ধু। কলেজে একই বেঞ্চে বসেছি, ক্লাসের পর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাও দিয়েছি একসঙ্গে। কখনো মনে হয়নি মা আর আমার বয়সের ব্যবধান রয়েছে।

মোটিভেশনাল উক্তি 

By nadira