দুবাই থেকে প্রবাসীদের টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেনের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে এক মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর ও তার দুই কর্মী আছেন।
সিআইডি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ওই এমএফএস ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে দেড়শটি এমএফএস এজেন্ট সিম কিনে সেগুলোকে ‘জেট রোবটিক’ অ্যাপের সাহায্যে দুবাই থেকে নিয়ন্ত্রণ করছেন শহীদুল ইসলাম ওরফে মামুন নামের এক ব্যক্তি।
দুবাই প্রবাসী কেউ বাড়িতে অর্থ পাঠাতে চাইলে এজেন্টদের মাধ্যমে সেই বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহ করেন মামুন, আর ‘জেট রোবটিক’ নিয়ন্ত্রিত এমএফএস একাউন্ট থেকে টাকা পাঠান প্রবাসীর কাঙ্ক্ষিত নম্বরে।
দুবাই বসে তিন মাসে ৪০০ কোটি টাকার হুন্ডি, দেশে ধরা ৫
গত তিনমাসে এভাবে চারশ কোটি টাকার লেনদেন হলেও দেশে সেই বিদেশি মুদ্রা আসেনি বলে জানান সিআইডি কর্মকর্তারা।
গ্রেপ্তার বক্তিরা হলেন- চট্টগ্রামের তাসমিয়া অ্যাসোসিয়েটসের মালিক নাসিম আহেমেদ (৬২), কর্মী ফজলে রাব্বি সুমন (৩২) ও কামরুজ্জামান (৩৩); হোতা মামুনের দুই সহযোগী জহির উদ্দিন (৩৭) ও খায়রুল ইসলাম পিয়াস (৩৪)। জহির ও পিয়াস মামুনের কথামতো বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন করতেন। তাদের কাছ থেকে নগদ ২৮ লাখ ৫১ হাজার টাকা, ছয়টি মোবাইল, ১৮টি সিমকার্ডসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
সিআইডি বলছে, হোতা মামুন ২০২০ সাল থেকে দুবাইয়ে থাকেন। তিনিসহ পাঁচজনের একটি চক্র সেখান থেকে ‘জেট রোবটিক অ্যাপ’ ব্যবহার করে হুন্ডি কারবার চালিয়ে আসছেন।