২৪ বছর বয়সী চেলসির মা ফিলিপিনো ও বাবা আফ্রিকান- আমেরিকান। গত সপ্তাহে মুকুট জয়ের মাধ্যমে ফিলিপাইনের সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন এ তরুণী। ব্যবহারকারীরা বলছেন, ঐতিহ্যগত শুভ্র বর্শকে সৌন্দর্যের মাপকাঠি ধরা হয়ে থাকে, সেই ধারণাকে ভেঙে দিতে সাহায্য করেছেন চেলসি।

ম্যানিলা থেকে উত্তরের প্রদেশ বুলাকানের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিযোগিতায় যোগ দেন চেলসি মানালো। তাকে মোট ৫২ জনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছে। প্রতিযোগিতার শীর্ষ পাঁচ ইভেন্টে চেলসি মানালোকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, নিজের সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাসকে কীভাবে তিনি অন্যদের ক্ষমতায়নে ব্যবহার করবেন?

উত্তরে জানান, একজন কৃষ্ণ বর্ণের নারী হিসেবে সবসময় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। তাকে বলা হতো, সৌন্দর্যের একটা আদর্শ ধরন আছে, তিনি তেমন নয়। কিন্তু চেলসি মানালোকে তার মা সব সময়ে নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে শিখিয়েছিলেন। এসব ঘটনা যেভাবে মোকাবেলা করেছেন, সেভাবে অন্য নারীদের প্রভাবিত করতে চান তিনি।

এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো ফিলিপাইনেও মডেল ও অভিনেতা হিসেবে উজ্জ্বল বর্ণধারীদের প্রাধান্য রয়েছে। এসব দেশে ত্বক ফর্সাকারী পণ্যগুলো ভীষণ জনপ্রিয়।চেলসি মানালো ১৪ বছর বয়স থেকে বিজ্ঞাপন জগতে কাজ করছেন। কাজ করতে গিয়ে পদে পদে বাধা শিকার হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এবারের মিস ইউনিভার্সে শতাধিক দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। তবে সম্প্রতি কিছু অভিযোগের কারণে প্যারেন্ট কোম্পানি মিস ইউনিভার্স অরগানাইজেশন যুক্তরাষ্ট্রে আওতায় এসেছে। চলতি মাসেই অব্যবস্থাপনা, নেতিবাচক কাজের পরিবেশ ও মানসিক স্বাস্থ্যে ক্ষতির অভিযোগ তুলে খেতাব ফিরিয়ে দেন সর্বশেষ আসরের মিস ইউএসএ ও মিস টিন ইউএসএ।

সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *