দুবাইয়ের এই ইমারত এক বিস্ময় এবং মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক। আকাশচুম্বী ভবনটি কেবল উঁচু নয়, এতে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, খুচরা দোকান এবং চমৎকার সব রেস্তোরাঁও রয়েছে। বুর্জ খলিফা আইফেল টাওয়ারের চেয়ে তিনগুণ লম্বা। এর উচ্চতা ২,৭১৬.৫ ফুট (৮২৮ মিটার)।
গগনচুম্বী ভবনটিতে ১৬৩ তলা রয়েছে, আছে ৫৮টি লিফট। ২,৯৫৭ পার্কিং স্পেস, ৩০৪ হোটেল, ৩৭ অফিস ফ্লোর এবং ৯০০ সুপার বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে বুর্জ খালিফায়।
প্রসিদ্ধ আরমানি হোটেল দুবাইয়ের বুর্জ খালিফার অষ্টম তলায় এবং ৩৮-৩৯ তলায় অবস্থিত। এই হোটেলের বিলাসবহুল এক এবং দুই শয়নকক্ষের আরমানি রেসিডেন্স নবম থেকে ১৬ তলায় অবস্থিত।
সবচেয়ে উঁচু ভবনটিতে এক, দুই, তিন এবং চারটি শয়নকক্ষ-সহ ব্যক্তিগত অতি-বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টও রয়েছে। এই অ্যাপার্টমেন্টগুলি লেভেল ৪৫ থেকে ১০৮ পর্যন্ত পাওয়া যায়।
দুই বিএইচকে ফ্ল্যাটের দাম ২,৫০০,০০০ দিরহাম (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫.৮৩ কোটি টাকা)। বুর্জ খলিফায় তিন বিএইচকে অতি-বিলাসী অ্যাপার্টমেন্টের দাম ৬,০০০,০০০ দিরহাম (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি টাকা)।
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ইমারত বুর্জ খলিফায় কিছু বিলাসবহুল, বিশ্বমানের আবাসনও রয়েছে। ২১,০০০ বর্গফুটের বৃহত্তম পেন্টহাউসের দাম প্রায় ১০,২০০,০০০ দিরহাম (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ বিলিয়ন টাকা)।
বুর্জ খলিফার মালিক কে?
বুর্জ খলিফাটি দুবাই-ভিত্তিক রিয়েল এস্টেট সংস্থা এমার প্রপার্টিজ তৈরি করেছিল। এই উচ্চতম ভবনটি তৈরি করতে সংস্থাটির প্রায় ছয় বছর সময় লাগে। এটির মালিক আমিরশাহীর একজন ব্যবসায়ী এবং রিয়েল এস্টেট টাইকুন মহম্মদ আলাববার।
বুর্জ খলিফা ছাড়াও, এমার প্রপার্টিজ দুবাই মল, দুবাই ক্রিক টাওয়ার এবং দুবাই ফাউন্টেনের মতো অন্যান্য অভিনব কাঠামোর জন্যও পরিচিত। মহম্মদ আলাববার আবু-ধাবি ভিত্তিক একটি বেসরকারি বিনিয়োগ এবং রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন সংস্থা ঈগল হিলসের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান।
মোটিভেশনাল উক্তি