মধ্যপ্রাচ্যের আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আবার উঠে এসেছে বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকার শীর্ষে।
তালিকায় পরের অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর এবং তৃতীয় অবস্থানে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর।
উড়োজাহাজ পরিবহনবিষয়ক যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ওএজি অ্যাভিয়েশন’ মার্চে বিশ্বের ব্যস্ততম শীর্ষ ১০ বিমানবন্দরের এ তালিকা প্রকাশ করে।
এতে প্রথম অবস্থানে থাকা দুবাই বিমানবন্দর গত এক মাসে ব্যবহার করেছেন ৫১ লাখ ৫৯ হাজার ৪০৯ জন যাত্রী।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীদের হিসাবের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যাত্রী চলাচলের আরেক হিসাবের ভিত্তিতে পৃথক আরেকটি তালিকা তৈরি করে ওএজি।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে তৈরি ওই তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর; গত এক মাসে মোট ব্যবহারকারী ৫৩ লাখ ৬৯ হাজার যাত্রী। ২০২৪ সালেও তালিকার শীর্ষে ছিল এটি।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যেটি দিয়ে গত এক মাসে চলাচল করেছে ৫১ লাখ ৫৯ হাজার যাত্রী।
এ তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা জাপানের টোকিও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (হানেদা) দিয়ে যাত্রী চলাচল করেছে ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার জন।
শীর্ষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যাত্রী চলাচলের কারণেই দুবাই সবথেকে বেশি ব্যস্ত বিমানবন্দর। ২০২৪ সালের মার্চেও বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর ছিল এটি।
দুবাই অ্যাভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্টের তথ্য বলছে, ছয়টি উপমহাদেশের ২৪০টি গন্তব্যে ছুটতে প্রায় ১০০টি উড়োজাহাজ সংস্থা প্রচণ্ড ব্যস্ত এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে। তিনটি প্রধান টার্মিনাল ও যাত্রী চলাচলে চারটি প্রশস্ত পথ রয়েছে সেখানে।
মরুভূমির বালির মধ্যে মাত্র ১৮০০ মিটারের একটি রানওয়ে নিয়ে ১৯৬০ সালে এই বিমানবন্দরের যাত্রা শুরু হয়েছিল। যাত্রার মাঝপথে ডগলাস ডিসি-৩ আকারের উড়োজাহাজের জ্বালানি নেওয়ার জন্য প্রধানত বিমানবন্দরটি ব্যবহার করা হত। কালের বিবর্তনে ব্যাপক উন্নয়নে সেটিই বিশ্বের সবথেকে ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকার শীর্ষে থাকছে।
বর্তমানে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বছরে সাড়ে ১১ কোটি যাত্রী পরিহন করে থাকে। ২০২৪ সালেও ৯ কোটি ২৩ লাখ যাত্রী বিমানবন্দরটি ব্যবহার করে। কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের ব্যস্ততম বিমাবন্দরের তালিকার প্রথম সারিতে থাকছে এটি।
ওএজির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর। যুক্তরাজ্যের সব থেকে বড় এই বিমানবন্দর গত এক মাসে ব্যবহার করেছেন ৪০ লাখ ৮ হাজার ৬৪৪ যাত্রী।
সেন্ট্রাল লন্ডনের পশ্চিমে অবস্থিত এ বিমানবন্দর দিয়ে ৮০টিরও বেশি দেশের দুই শতাধিক গন্তব্যে ছোটে মানুষ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির পরপরই (১৯৪৬ সালে) বিমানবন্দরটি চালু হয়। বর্তমানে দুটি রানওয়ে ও চারটি টার্মিনাল রয়েছে সেখানে।
১৯৮১ সালে চালু বিমানবন্দরটিতে বর্তমানে ৪ হাজার মিটারের দুটি রানওয়ে রয়েছে। বিশ্বের প্রায় দেড়শ গন্তব্যে যেতে এ বিমানবন্দর ব্যবহার করে ১০০ উড়োজাহাজ কোম্পানি।
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ইনচিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, পঞ্চম অবস্থানে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম বিমানবন্দর ও ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
তালিকার পরে রয়েছে যথাক্রমে ইস্তানবুল বিমানবন্দর, প্যারিস শার্ল দ্য গল বিমানবন্দর, ফ্রাঙ্কফুট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ব্যাংকক সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
মোটিভেশনাল উক্তি