মূল্যস্ফীতি ও অর্থনীতিক সঙ্কটে সারা বিশ্ব যখন ধুকছে, তখন আমেরিকায় গত এক বছরে লাখপতি বেড়েছে ৬ লাখ। বহুজাতিক পরামর্শক সংস্থা ক্যাপজেমেনি এ তথ্য জানিয়েছে।

ক্যাপজেমিনির বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি জানিয়েছে, আমেরিকায় ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে লাখপতি বেড়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এখন দেশটিতে লাখপতির সংখ্যা ৬৯ লাখ থেকে বেড়ে ৭৫ লাখে দাঁড়িয়েছে।

আমেরিকায় সুদহার এখনো রেকর্ড উচ্চতায় রয়েছে। তারপরেও গত বছর শেয়ারবাজারের পুনরুদ্ধার, সরকারি ব্যয় বেড়ে যাওয়া ও বিভিন্ন প্রণোদনামূলক ব্যবস্থার কারণে দেশটিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদ সৃষ্টি হয়েছে।

আমেরিকায় ধনীদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ৩ কোটির ডলারের বেশি সম্পদ রয়েছে এমন ধনীদের সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ক্যাপজেমেনি।

ক্যাপজেমেনির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক সম্পদের ৩৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে অতিধনীরা। অর্থাৎ সম্পদ বাড়ার সুফল ভোগ করছেন অতিধনীদের ছোট্ট এই অংশ।

ক্যাপজেমিনির বৈশ্বিক প্রধান ইলিয়াস ঘানেম বলেন, কম সুদহার ও তারল্যের কারণে গত দশকে সম্পদ সৃষ্টি হয়েছিল। এতে প্রযুক্তির উত্থান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা রয়েছে। তবে বিশ্বে চলমান দুটি যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক মন্দা সম্পদ সৃষ্টির গতি কমিয়ে দিতে পারে।

সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু আমেরিকা নয়, সারা বিশ্বেই লাখপতির সংখ্যা বাড়ছে। গত বছর লাখপতির সংখ্যা ৫ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ২ কোটি ২৮ লাখ হয়েছে।

সম্পদ সৃষ্টির দিক থেকে উত্তর আমেরিকার পরই এগিয়ে রয়েছে এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা। এ অঞ্চলে সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে ইউরোপে ৪ শতাংশ, লাতিন আমেরিকায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ ও মধ্যপ্রাচ্যে ২ দশমিক ১ শতাংশ। শুধু আফ্রিকা অঞ্চলে লাখপতি সংখ্যা ১ শতাংশ কমেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *