মঙ্গলবার বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য গাজা থেকে প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থীকে ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অনুমতি দেবে।
এই পরিকল্পনায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে, যার মধ্যে নয়জন এক বছরের মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য সরকার-সমর্থিত চেভেনিং স্কিম তহবিল পাবে এবং বাকিরা বেসরকারি প্রোগ্রাম থেকে তহবিল পাবে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভ্রমণের অনুমতি পেলেই শিক্ষার্থীদের গাজা ত্যাগ করার অনুমতি দেওয়া হবে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে যু*দ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তারাই প্রথম যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার জন্য ফিলিস্তিনি ছিটমহল ত্যাগ করবে।
তবে, এই বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী কাইর স্টারমার সম্ভাব্যভাবে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর থেকে যুক্তরাজ্য এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাজ্যে যাওয়ার অনুমতি পাওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদন পূরণের জন্য তৃতীয় দেশে ভ্রমণ করতে হবে।
ফ্রান্স, ইতালি এবং আয়ারল্যান্ড সহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলির সাথে ব্রিটেনও যোগ দেবে, যেখানে প্রতিটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জায়গা থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্ছেদের পথ অনুমোদন করা হবে।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে যে শিক্ষার্থীদের জন্য পরিকল্পনাটি “জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং”।
বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী কর্পোরেশনকে জানিয়েছেন যে ভ্রমণের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকাকালীন তারা গাজায় তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।
ব্রিটিশ রাজনীতিবিদরা কয়েক মাস ধরে প্রায় ৮০ জন গাজা শিক্ষার্থীকে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার রয়েছে। বাকি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার জন্য উপযুক্ত কিনা তা স্পষ্ট নয়।
গুরুতর অসুস্থ গাজা শিশুদের গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্যও একটি আন্দোলন চলছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজায় কমপক্ষে ৬০,০০০ ফিলিস্তিনিকে হ*ত্যা করেছে।
মোটিভেশনাল উক্তি