বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের বৈধ পারমিটের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই প্রয়োজন পরে পারমিট নবায়ন করার। সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু মানুষ তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করে  কম্পিউটারের মাধ্যমে নকল ওয়ার্ক পারমিট তৈরি করে দেয়। যার বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।

মালয়েশিয়ায় বৈধকরণ কর্মসূচি ‘আরটিকে ২.০’ প্রোগ্রামে বৈধকরণ করতে বিদেশি কর্মীদের টার্গেট করে জাল ওয়ার্ক পারমিট সিন্ডিকেট পরিচালনা করায় গত দুই সপ্তাহ ধরে পরিচালিত অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপারেশন টিম একজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। ২৮ মে সোমবার কুয়ালালামপুরের জালান সুলতান ইসমাইলের এক বিশেষ অভিযানে আটক করা হয় তাকে।

সিন্ডিকেটটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিদেশি কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন পরিষেবা প্রদান করে, প্রতিটি আবেদনের জন্য ১,০০০ থেকে ২,০০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত নেয়া হত। ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর-জেনারেল দাতুক জাকারিয়া শাবান বলেছেন, আটক বাংলাদেশি জাল পারমিট তৈরির সিন্ডিকেটের মূল পরিকল্পনাকারী বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও, সিন্ডিকেটের ‘এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করা বাংলাদেশ, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার তিন নাগরিককেও আটক করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন বলছে, এই সিন্ডিকেটের মূল পরিকল্পনাকারী, বাংলাদেশিই এই অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা ও পরিচালনার জন্য দায়ী ব্যক্তি। আটকদের বয়স ২৩ থেকে ৪৮ বছরের মধ্যে এবং তাদের মধ্যে ২ জনের বৈধ কর্মসংস্থান পাস ছিল, অন্যজন ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক যার কোন বৈধ পাস ছিল না। ইমিগ্রেশন বলছে, এই অবৈধ কার্যকলাপ এক বছর ধরে পরিচালিত হচ্ছে এবং এই সিন্ডিকেটটি অভিবাসন ব্যবস্থার অপব্যবহার রোধে সরকারের প্রচেষ্টার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। অভিযানে বিভিন্ন নথি জব্দ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৪৮টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, দুটি ভারতীয় পাসপোর্ট, এবং নগদ ২,৪০০ রিঙ্গিত।

 

মোটিভেশনাল উক্তি 

By nasir