রায়ের রূপরেখা দেওয়া একটি নথি অনুসারে, কাতারের একটি ফৌজদারি আদালত ৫.৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ পাচারের অভিযোগে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্র কাতারের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে ২০ বছরের কা’রাদণ্ড দিয়েছে। ৫.৬ বিলিয়ন ডলারে আসে ৬৮ হাজার ১২২ কোটি টাকা।

নথিতে দেখা গেছে, প্রথম আদালত আলী শেরিফ আল ইমাদিকে ৬১ বিলিয়ন কাতারি রিয়াল (১৬.৭ বিলিয়ন ডলার) জরিমানা করার নির্দেশ দিয়েছে, যার মধ্যে ৪০.৯ বিলিয়ন রিয়াল – অথবা তার পাচার করা অর্থের দ্বিগুণ – এবং অতিরিক্ত ২১ বিলিয়ন রিয়ালেরও বেশি জরিমানা করার নির্দেশ দিয়েছে। ১০ই জানুয়ারি এই রায় দেন আদালত।

১৪ জনের সাথে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ইমাদি, আদালতের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। বিচার চলাকালীন অভিযোগের জবাবে তিনি আবেদন করেছেন কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট ছিল না।

ইমাদির আইনজীবীরা দ’ণ্ডাদেশের বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেননি এবং গ্রে’প্তার হওয়ার পর থেকে তিনি প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি।

নথি অনুসারে, ইমাদিকে ঘু’ষ, পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অর্থ পা’চারের পাশাপাশি সরকারি তহবিলের ক্ষতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, যেখানে দুর্নীতির প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

২০২১ সালের মে মাসে তাকে গ্রে’প্তার করা হয় এবং অর্থমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি বলেছেন যে ইমাদির তদন্ত অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার ক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত, মন্ত্রী থাকাকালীন ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের অন্যান্য পদের সাথে সম্পর্কিত নয়।

মোটিভেশনাল উক্তি