শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আল নাসের রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক  মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, কোটি টাকা আত্মসাৎ করে সপরিবারে দুবাই পালিয়ে গিয়েছেন তারই শ্যালক ব্যবসায়িক অংশীদার ওসমান গণী।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতারণার শিকার আরও বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, তিনি এবং তার দুবাই প্রবাসী শ্যালক ওসমান গণী যৌথভাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় জড়িত। সে এখন দুবাইয়ে বসবাস করছেন। ওসমান গণী ও নাছির উদ্দিন যৌথভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইট এলাকায় একটি জায়গা ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ওসমান গণী তার অংশের জমি নাসির উদ্দিনের কাছে বিক্রির জন্য বায়নানামা করেন এবং এই বাবদ ৭০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। এছাড়া অন্যান্য ব্যবসায়িক লেনদেন মিলিয়ে মোট ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা নাসির উদ্দিনের কাছ থেকে নেন ওসমান গণী। অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বরে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কথা থাকলেও ওসমান গণী গোপনে সপরিবারে দেশত্যাগ করে দুবাই চলে যান, এবং জমি রেজিস্ট্রি দেননি।

মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের অভিযোগ, ওসমান গণী শুধু তার সাথেই প্রতারণা করেননি, এলাকার মনির নামক এক ব্যক্তির সহযোগিতায় আরও বহু মানুষকে জমি বায়নানামা, জমি বিক্রি এবং ব্যবসায়িক শেয়ার দেওয়ার লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার এই প্রতারণার জালে আটকা পড়ে বহু পরিবার আজ নিঃস্ব ও দিশেহারা।
জামায়াতের সম্মেলনে সামনের সারিতে দেখা গেল আওয়ামী লীগ নেতাকে

নাছির উদ্দিন বলেন, ওসমান গণীর কারণে কোটি টাকার পুঁজি হারিয়ে তিনি অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। সে পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেশের বাইরে থাকায় তার বিরুদ্ধে আইন পদক্ষেপ নিলেও কোন কাজে আসছে না। বরং সে দেশের বাইরে থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা প্রোপাগণ্ডা ছড়াচ্ছেন। এতে তিনি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও ব্যবসায়ীক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রতারক ওসমান গণীকে গ্রেফতারে দুবাই দুতাবাসের সহযোগিতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রাণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওসমান গণীর ভাই মোহাম্মদ লোকমান গণী, বড়বোন রোকেয়া বেগম, নাছির উদ্দিনের মেয়ে রোকসানা আকতার ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।

মোটিভেশনাল উক্তি 

By nasir