ভিসা জটিলতা, মিশনগুলোতে হয়রানি, লাশ পরিবহনে বিড়ম্বনাসহ প্রবাসীদের সমস্যা নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আমিরাত প্রবাসীরা। প্রবাসী আয় বাড়াতে রেমিট্যান্সে পাঁচ শতাংশ প্রণোদনাসহ সমস্যাগুলো নিরসন জরুরি বলে মনে করছেন তারা।
সরকার পরিবর্তনের পর রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন সরকারের প্রতি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের এই আস্তার জায়গাটি ধরে রাখার জন্য তাদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নতুন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরা।
বিজনেস ফোরাম ইউএই’র প্রেসিডেন্ট কামাল হোসেন সুমন বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমরা রেমিট্যান্স পাঠাতে পারিনি। এখন আমরা সবাই বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে শুরু করেছি। ভবিষ্যতে এটি আরও বৃদ্ধি পাবে।
প্রণোদনা আড়াই শতাংশ থেকে পাঁচ শতাংশ করা দীর্ঘদিনের দাবি প্রবাসীদের। এ ছাড়া ভিসা জটিলতা, লাশ পরিবহনে বিড়ম্বনা, কাস্টমসে হয়রানিসহ পরিবার-পরিজনের জান-মালের নিরাপত্তার বিষয়টি তারা নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরতে চান।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, নতুন সরকার যদি প্রবাসীদের পাঁচ শতাংশ প্রণোদনা দেয় তাহলে রেমিট্যান্সের প্রবাহ আরও বাড়বে।
প্রবাসীদের প্রত্যাশা নতুন উপদেষ্টা আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সফর করে জটিল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবেন। ২০১২ সালের পর থেকে আমিরাতে বার বার প্রবাসীরা ভিসা জটিলতা নিয়ে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছেন। তারপরেও প্রবাসীরা এই দেশটি থেকে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে যোগান দিয়েছেন।