কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ’পরাধমূলক নিরাপত্তা বিভাগ ফারওয়ানিয়া গভর্নরেটের জিলিব আল-শুয়ুখ এলাকায় এশিয়ান প্রবাসী সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করা একটি চক্রকে ভেঙে দিয়েছে। এই চক্রের এক বাংলাদেশি সদস্যকে আ’ট’ক করেছে কুয়েত পুলিশ। আ’ট’কে’র খবর ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
কুয়েত সরকারের বিবৃতি অনুসারে, প্রবাসী এবং বিক্রেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ফারওয়ানিয়া তদন্ত বিভাগ এই চক্রের অবৈধ কার্যক্রম উন্মোচন করেছে।
এই চক্রটি ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ দাবি করছিল বলে জানা গেছে – যাদের মধ্যে অনেকেই ফুটপাতের বিক্রেতা এবং অনানুষ্ঠানিক কর্মী। তাদের বলা হয় যদি তারা চাঁদা দেয় তাহলে কোনো হ*য়রা’নি বা ক্ষ’তি করবে না। ভুক্তভোগীরা মূলত এশিয়ান প্রবাসী সম্প্রদায়ের, তাদের দুর্বল অবস্থান এবং ফুটপাতে মালামাল বিক্রি করার কারণে তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
তদন্তকারী সদস্যরা ভিডিও প্রমাণ সহ গ্যাং’য়ের কার্যকলাপ নথিভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে যে গ্রুপের সদস্যরা রিয়েল টাইমে বিক্রেতাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে। ফুটেজে নিশ্চিত করা হয়েছে যে এই চক্রটি এলাকায় তদারকির অভাবকে কাজে লাগিয়ে একটি সংগঠিত চাঁদাবাজি চক্র পরিচালনা করছিল।
এই প্রমাণের ভিত্তিতে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একটি কৌশলগত অ*তর্কিত আ*ক্র*ম*ণ চালায়, যার ফলে একজন বাংলাদেশি নাগরিক, একজন গ্যাং সদস্যকে গ্রে*প্তা*র করা হয়, যিনি টাকা আদায়ের চেষ্টা করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে এই গোষ্ঠীর বাকি সদস্যদের শনাক্ত এবং গ্রে*প্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমাজের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হু*মকিস্বরূপ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি তার শূন্য-সহনশীলতা নীতির উপর জোর দিয়েছে। তার বিবৃতিতে, মন্ত্রণালয় জনসাধারণকে সরকারি যোগাযোগ মাধ্যমে যেকোনো সন্দেহজনক বা অনুরূপ অ*পরাধমূলক আচরণের প্রতিবেদন করার আহ্বান জানিয়েছে, কুয়েতের সকল সম্প্রদায়কে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। সূত্রঃ আরব টাইমস
মোটিভেশনাল উক্তি