ভার্জিনিয়া হিসলপ। ১০৫ বছর বয়সী এই নারী অবশেষে অর্জন করেছেন মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) ডিগ্রি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক শেষ করলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও সৈনিক স্বামীর যুদ্ধে ডাক পড়ায় সে সময় অর্জন করতে পারেননি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

বাদ ছিলো চূড়ান্ত থিসিস (গবেষণামূলক প্রবন্ধ) জমা দেয়া। তবে দীর্ঘ ৮৩ বছর পর সেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই তাকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দিলো।

সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানায়, গত রোববার ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ সমাবর্তন আয়োজন করে শিক্ষা বিষয়ে ভার্জিনিয়াকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেয়। এ সময় ভার্জিনিয়া কালো গাউন পরা ছিলেন। শতবর্ষী এই নারীকে দেখা গেছে প্রাণোচ্ছল। যদিও তিনি ক্যাম্পাসে এসেছিলেন হুইল চেয়ারে।

মূলত তার মেয়ের স্বামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ডিগ্রি দেয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করেন। এরপর তাকে জানানো হয়, ভার্জিনিয়ার যেই চূড়ান্ত থিসিস জমা দেয়া বাকি ছিলো, তা এখন আর জামা দেয়ার প্রয়োজন নেই। তাকে ডিগ্রি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বহুল প্রতীক্ষিত এই অর্জনের বিষয়ে ওই অনুষ্ঠানে ভার্জিনিয়া বলেন, আমি অনেক দিন ধরেই এটি পাওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন স্বীকৃতি পাওয়ায় ভালো লাগছে।

১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিলে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য ডাক পড়ে তার স্বামীর। এ কারণে ভার্জিনিয়া স্বামীর সঙ্গে ওকলাহোমায় চলে যান তিনি। সে কারণেই চূড়ান্ত থিসিস জমা দিতে পারেননি তিনি।

লস অ্যাঞ্জেলসে বড় হওয়া এই নারী স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে। তিনি জানান, তার ইচ্ছা ছিলো আইন বিষয়ে পড়ার। তবে তার বাবা আইন বিষয়ে পড়াতে রাজি হননি, এমনকি কোনো টাকাও দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন।

ফলে তিনি বাবার পছন্দ অনুযায়ী শিক্ষা বিষয়ে ভর্তি হন। পরে শিক্ষার প্রসারে তিনি কাজ করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। যুদ্ধের পর স্বামী জর্জের সঙ্গে ওয়াশিংটনে পারিবারিক পশুপালন ব্যবসায় যোগ দেন ভার্জিনিয়া। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। তাদের বিয়েও দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *