বাংলাদেশের জন্য এটি অত্যন্ত গর্বের। বিশ্বের সর্ববৃহৎ হস্তলিখিত কুরআন শরীফ লেখা হচ্ছে এখন বাংলাদেশে। এর দায়িত্ব পালন করছেন হাফেজ কাউসার আহমাদ।

বাঁশের কলম ও দোয়াত কালি দিয়ে লেখা বিশ্বের সর্ববৃহৎ কুরআন বাংলাদেশে

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ সময় কুরআন প্রদর্শনীর আয়োজক কমিটির সভাপতি ছিলেন স ম ইফতেখার মাহমুদ, সহ-সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন এবং সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম নোমান।

আয়োজকরা জানান, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় হস্তলিখিত কুরআনুল কারিম। এর দৈর্ঘ্য ১৪ ফুট, প্রস্থ ১২ ফুট। এটি দুইশ পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই কুরআনুল কারিমের ওজন হবে প্রায় ৮০০ কেজি বা ২০ মণ।

হাতে তৈরি বাঁশের কলম, দোয়াত কালি দিয়ে লিখিত হয়েছে পবিত্র গন্থ কুরআন। প্রচ্ছদ ও ডিজাইনে স্বর্ণ, রূপা, ব্রোঞ্চ, কাঠ, স্টিল, এসএস,

ফোম ইত্যাদি ব্যবহার করা হবে। এটি লিখতে এক বছরের বেশি সময় লেগেছে। বর্তমানে এর ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে এবং অভিজ্ঞ হাফেজ দ্বারা রিভিশন করা হয়েছে।

প্রদর্শনী আয়োজক কমিটির সভাপতি স ম ইফতেখার মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এ দেশে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। বাংলাদেশের সব মুমিন মুসলমান কুরআনুল কারিমকে ভালোবাসেন,

কুরআনুল কারিম সব মানুষের জীবন বিধান। আর এই মহাগ্রন্থ আল কুরআনে রয়েছে মানবজাতির জন্য আল্লাহ প্রদত্ত হেদায়েত। মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাজিল করেছি এবং আমিই তা সংরক্ষণ করব।

আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ হস্তলিখিত এই সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব। দিগ-দিগন্তে ছড়িয়ে দিতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।

মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমরা এ কাজটি করেছি। এর মাধ্যমে আর কোনো উদ্দেশ্য নেই। তাছাড়া বাংলাদেশে একটি ইসলামিক মিউজিয়াম তৈরি করার দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কুরআনের হস্তলিপি তৈরি করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের হাফেজরা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ রেখেছেন। এবার হস্তলিপি কুরআনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতে অনন্য সাক্ষর রেখেছেন। তিনি ওই প্রকল্পে সাধ্যমতো সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *