আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন আসামি শহীদ মিয়ার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। বিকেলে পরে জবানবন্দি দেওয়ার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতের একটি সূত্র জানায়, শহীদ মিয়া সোনা চোরাচালানের উদ্দেশ্যে শারজাহ থেকে শরীরে অনেক পোশাকের মধ্যে পেঁচিয়ে বিশেষভাবে সোনা এনেছিলেন বলে আদালতের কাছে স্বীকার করেন। তিনি একটি সংঘবদ্ধ চোরাচালানকারী দলের সদস্য। এই সোনাগুলো কার কাছে পৌঁছবেন তা বিস্তারিতভাবে বলেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে সূত্রটি অন্য যাদের নাম বলেছেন, তা প্রকাশ করেননি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাড়ে চার কোটি টাকার বেশি মূল্যের সোনাসহ গ্রেপ্তার শহীদ মিয়াকে গত শনিবার দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

এর আগে গত শুক্রবার সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে শারজাহ থেকে আসা যাত্রী মোহাম্মদ শহীদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তাঁর কাছে ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার থাকার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাঁর কাছে ৩০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। তাঁর কাছে আর কোনো সোনা থাকার কথা অস্বীকার করায় তাঁকে তল্লাশি করেন গোয়েন্দারা। তাঁর পরনে অত্যধিক পরিমাণ জামা-কাপড়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তাঁর জামা-কাপড়ের ওজন অস্বাভাবিক দেখায় সেগুলো খুলে স্ক্যানিং মেশিনে স্ক্যান করা হয়। এ সময় জামা-কাপড়ের মধ্যে বিশেষভাবে লুকায়িত স্বর্ণের ইমেজের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে তাঁকে কাস্টমস হলে নিয়ে যাওয়া হয়।

সোনার পরিমাণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে শহীদ মিয়ার শরীরে পরিহিত ১৬টি কাপড় (যার মধ্যে শর্ট প্যান্ট ৯টি, স্যান্ডো গেঞ্জি ৬টি ও ফুলপ্যান্ট ১ টি) স্থানীয় স্বর্ণকার কর্তৃক যাত্রী ও বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে বিমানবন্দরের ক্যানোপি-১-এ নিয়ে পোড়ানো হয়। পোড়ানোর পরে অপরিশোধিত ৪ হাজার ৪৬২ গ্রাম পরিমাণ সোনা নির্ণয় করেন। প্রাপ্ত মোট সোনার পরিমাণ ৪ হাজার ৪৯২ গ্রাম (চার হাজার ৪৬২ গ্রাম অপরিশোধিত সোনা ও ৩০ গ্রাম অলংকার)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *