বিশ্বে এখন ভেগান খাবার জনপ্রিয় হচ্ছে। কিন্তু মানুষ মাংসের স্বাদ গ্রহণ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করতে চায় না। ফলে মাংসের স্বাদ পেতে বিকল্প অনেক কিছুই এখন বাজারে মিলছে। ল্যাবরেটরিতে তৈরি মাংসের বার্গারও মিলছে বাজারে। আরেকটি নিরামিষ, তবে মাংসের স্বাদের খাবার পশ্চিমে জনপ্রিয় হচ্ছে—সেটি হলো জ্যাকফ্রুট উইংস। এটি যে চিকেন উইংসের বিকল্প তা আর না বললেও চলে!

ব্রিটেনের বাজারে ২০২২ সাল থেকেই সুপার মার্কেটের তাকে শোভা পাচ্ছে এই জ্যাকফ্রুট উইংস। আক্ষরিক অর্থেই এটি কাঁঠালের তৈরি। আর এটি বানানোও হয় এমনভাবে যেন চিবানোর সময় সত্যিকার হাড়–মাংসের অনুভূতি দেয়। এটি ক্রমেই জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুডে পরিণত হচ্ছে।

উদ্ভিদভিত্তিক স্ট্রিট ফুড ব্র্যান্ড বিফস প্ল্যান্ট শেক প্রথম বিশেষ রেসিপির জ্যাকফ্রুট উইংস বাজারে আনে। তাদের রেসিপির মধ্যে রয়েছে: খোসা ছাড়ানো আখের টুকরার ওপর কাঁঠাল, মাশরুম, গাজর এবং একটি গোপন ভেষজ এবং মসলার মিশ্রণ। একজনের জন্য চার পিসের এক প্যাকেটের দাম সাড়ে ৪ পাউন্ড। অর্থাৎ, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৭০ টাকার বেশি!

কাটা আখের ওপর এমনভাবে কাঁঠালের কিমা এবং ব্রেডক্রাম্বের খাস্তা মিশিয়ে ডুবো তেলে ভাজা হয়, কামড় দিলে চিকেন উইংসের মতোই অনুভূতি হয়।

অনেকে বলছেন, জ্যাকফ্রুট উইংস ঐতিহ্যবাহী চিকেন উইংসের বাজারে অনেকখানি ভাগ বসাতে পারত, কিন্তু দাম একটু বেশি। তবে ভেগান পণ্যের ব্যবসায়ীদের যুক্তি আলাদা। তাঁরা বলেন, এমন পণ্যের ব্যবসা তাঁরা করতে চান শুধু মানবজাতিকে নয়, এই পৃথিবী নামক গ্রহকেই রক্ষা করবে। তাঁরা সম্পূর্ণ উদ্ভিদভিত্তিক খাবারের মধ্যেই মাংসের স্বাদ, অভিজ্ঞতা এবং সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিতে চান। এই কারণেই তাঁরা ভেগান পণ্যের দাম একটি বেশি রাখেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এই জ্যাকফ্রুট উইংসের স্বাদ নিয়ে এক সাংবাদিকের সঙ্গে বলেছিল। সাংবাদিক এলেন কফলান জ্যাকফ্রুট উইংসের স্বাদ পরীক্ষা বলেছেন, ঠিক মুরগির মতোই স্বাদ। এটি সম্ভবত একটি ভালো জিনিস যে এটি ভেগান এবং মাংস ভক্ষণকারী উভয়ই মজা করে খেতে পারেন।

কাঁচা কাঁঠাল রান্না করলে মুরগির মাংসের মতোই দেখায়। আর রান্নার সময় মাংসের মতো একই মসলা এতে ব্যবহৃত হয়। এর আসল স্বাদ পেতে চাইলে খেতে হয় বার্গার বা চিপোটল বারবিকিউ সস সহযোগে।

আর এটি তৈরি করাও সহজ। বাজার থেকে কেনা ফ্রোজেন জ্যাকফ্রুট উইংস ঘরে ওভেনে মাত্র ২০ মিনিট গরম করলেই মুচমুচে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *