উপসাগরীয় দেশ কাতার সাম্প্রতিক একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। যেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কাতার আমেরিকার সাথে নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব পুনর্মূল্যায়ন করছে। এটিকে “স্পষ্টতই মিথ্যা” বলে অভিহিত করেছে। কাতারি ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া অফিস অনুসারে এমনই তথ্য জানা গেছে।

অফিসের বিবৃতিতে প্রতিবেদনটিকে কাতার ও আমেরিকার মধ্যে ফাটল তৈরির একটি স্পষ্ট এবং ব্যর্থ প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করা হয়েছে যারা এই অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা থেকে লাভবান হয় এবং শান্তির বিরোধিতা করে।

“কাতার-মার্কিন নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব আগের চেয়েও শক্তিশালী এবং ক্রমবর্ধমান হচ্ছে। আমাদের দুই দেশ বহু বছর ধরে একে অপরকে সমর্থন করে আসছে এবং আমরা বিশ্বব্যাপী শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রচারের জন্য একসাথে কাজ চালিয়ে যাব,” এতে আরও বলা হয়েছে।

অ্যাক্সিওসের প্রকাশিত প্রতিবেদনটি এই সপ্তাহের শুরুতে কাতারে ইসরায়েলের হা*মলার পর, যখন দোহায় সম্মেলন চলাকালীন হামাস নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে বিমান হা*মলা চালানো হয়েছিল।

মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে কাতারে হামলা চালানোর ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতার, রিপাবলিকান নেতার নয়। ট্রাম্প বলেছেন যে কাতারের উপর একতরফা হামলা আমেরিকান বা ইসরায়েলি স্বার্থ রক্ষা করে না। ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি এই হা*মলায় খুশি নন।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করবেন এবং তার দেশে ইসরায়েলি আক্রমণ এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনার অবস্থা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে ইসরায়েলি আ*ক্রমণ ক্রমবর্ধমান।

বৃহস্পতিবার রাতে পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সাথে দেখা করবেন।

ইসরায়েলি হা*মলার এই পদক্ষেপের তীব্র নি*ন্দা করা হয়েছে কারণ এটি ইতিমধ্যেই ঝুঁকির মুখে থাকা অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কাতারের রাজধানী দোহায় হা*মলার নিন্দা জানিয়েছে, কিন্তু ইসরায়েলের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ১৫টি সদস্যের সম্মত বিবৃতিতে ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করেনি।

মোটিভেশনাল উক্তি