ব্রিটেনের অন্যতম ধনী পরিবার ‘হিন্দুজা পরিবার’। এই পরিবার একজন গৃহকর্মীকে যে বেতন দেয় তার থেকে একটি কুকুরের জন্য বেশি ব্যয় করে। সানডে টাইমসের তথ্য, হিন্দুজা পরিবারের সম্পদের মূল্য ৩৭ বিলিয়নেরও বেশি। তেল ও ব্যাংকিং ব্যবসা সম্প্রসারনে শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে পরিবারটির।
বিলিয়নিয়ার এই পরিবারটি তাদের গৃহকর্মীদেরকে যে বেতন দেন তা নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়েছে। শুধু তাই না এই পরিবারটির বিরুদ্ধে মানব পাচারেরও অভিযোগ উঠেছে জেনেভার আদালতে। অভিযুক্ত চার সদস্য হচ্ছেন—প্রকাশ হিন্দুজা, তার স্ত্রী কমল হিন্দুজা, তাদের পুত্র অজয় হিন্দুজা এবং তার স্ত্রী নম্রতা হিন্দুজা।
ব্লুমবার্গ রিপোর্টে বলা হচ্ছে, প্রকাশ হিন্দুজা এবং কমল হিন্দুজাকে সাড়ে পাঁচ বছরের জেলের সাজা দেওয়ার প্রস্তাবও উঠেছে জেনেভার আদালতে।
বলা হয়েছে, হিন্দুজা পরিবার গৃহকর্মীদের উপযুক্ত বেতন দেয় না উপরন্তু অমানবিক আচরণ করে।
আদালতে হিন্দুজাদের বিপক্ষের আইনজীবী কৌঁসুলি ইভেস বারতোসা বলেছেন, ব্রিটেনে হিন্দুজাদের বাড়িতে দৈনন্দিন কাজের জন্য ভারত থেকে আনা হয়েছে গৃহকর্মীদের। এসব গৃহকর্মী প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা কাজ করে ৬.১৯ সুইস ফ্রাঁ। কিন্তু তাদের আদরের কুকুরের জন্য বছরে ৮ হাজার ৫৮৪ সুইস ফ্রাঁ ব্যয় করে। বাৎসরিক হিসেবে একজন গৃহকর্মী যে অর্থ পান তার চার গুণ বেশি খরচ হয় কুকুরের জন্য।
আরও অভিযোগ আছে যে, হিন্দুজা পরিবারে গৃহকর্মী নিয়োগের পরেই তাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট জমা নিয়ে নেওয়া হয়। যাতে তারা ওই পরিবারের বাইরে অন্য কোথাও কাজের খোঁজ করতে না পারে। তবে হিন্দুজা পরিবার এই দাবি অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, গৃহকর্মীদের যথার্থ সম্মান ও বেতন দেওয়া হয়।তারা বলছে, গৃহকর্মীরা যখন তাদের টিভি দেখে সেই সময় কীভাবে কাজের সময় হিসেবে গণ্য হতে পারে।
হিন্দুজা পরিবার দাবি করছে, গৃহকর্মীদের থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থাও তারা করেন। এই বিষয়ে কয়েকজন গৃহকর্মৗর বক্তব্যও আদালতে পেশ করা হয়েছে। এই মামলা লড়ার জন্য আদালতের যে ১০ লাখ সুইস ফ্রাঁ খরচ হয়েছে সেই অর্থও দিতে বলা হয় হিন্দুজাদের। আরও ৩৫ লাখ সুইস ফ্রাঁ জমা করতে বলা হয়েছে হিন্দুজা পরিবারের পরিচারকদের ক্ষতিপূরণের তহবিলে।
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল