ওজন প্রায় ৯৫০ কেজি। ডিগবাজি দেয় বলে নাম রাখা হয়েছে ‘জায়েদ খান’। লাল রঙের শাহিওয়াল জাতের জাহেদ খান নামের ষাঁড়টির দাম হাঁকানো হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। ষাঁড়টির সঙ্গে একটি ছাগল ফ্রি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মালিক। তবে দরকষাকষির মাধ্যমে দাম কমানোর সুযোগ রয়েছে। আরও রয়েছে চাঁদ রাতে ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা।
তিন বছর ধরে ‘জায়েদ খান’কে লালন-পালন করছেন রমজান আলী বাচ্চু ও আনোয়ার হোসেন। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার দক্ষিণ পরাগলপুর গ্রামে নিরব এগ্রো ফার্মে প্রস্তুত করা হয়েছে এই ষাঁড়টি।
রমজান আলী বাচ্চু বলেন, “গম, ভুট্টা, সবুজ ঘাস ও ফলমূল খাওয়ানোর মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজা করা হয়েছে ষাঁড়টি। সময়মতো খাবার না পেলে রেগে যায় ‘জায়েদ খান’। গরম সহ্য করতে পারে না। এ কারণে সবসময় ফ্যানের বাতাস দিতে হয় তাকে। না হলে শুরু হয় পাগলামি। শরীর ঠান্ডা রাখতে দু’বেলা গোসল করাতে হয়।”
বিশেষ নামের এই ষাঁড়টির খাবার ও দেখাশোনার জন্য দৈনিক প্রায় ৫০০ টাকা খরচ করতে হয় তার মালিককে। সর্বদা দেখভালের জন্য নিয়োজিত রয়েছেন একজন কর্মচারী।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘জায়েদ খান’ নামের গরুটি দেখার জন্য অনেক মানুষ আসছেন। তার চলার ধরনটা অনেক সুন্দর। বেশ রাগিও সে।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের নিরব এগ্রো বিগত কয়েক বছর ধরে গরু মোটাতাজা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও গরু প্রস্তুত করেছে। ওই খামারে বড় একটি গরু রয়েছে শুনেছি, যার মূল্য ধরা হয়েছে ১২ লাখ টাকা। যে কিনবে তাকে নাকি একটি ছাগল ফ্রি দেওয়া হবে।’
Jagonews24 Google News Channelজাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ জানান, খামারি ও প্রান্তিক কৃষক মিলে এবার ৫০ হাজার ৭৩৯টি পশু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে ২২ হাজার ৪১৩টি ষাঁড় ও বলদ, ১৪ হাজার ১৫২টি গাভি, চার হাজার ৬১১টি মহিষ, ৯ হাজার ৫৬৩৫টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন হাটে বিক্রি হবে।