এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে ৫০৮ যাত্রিবাহী বিমানটি রাত ৯টা ১৮ মিনিটে ফ্লেমিঙ্গোর ঝাঁকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। যদিও বিমানটিকে নিরাপদে মুম্বই বিমানবন্দরে অবতরণ করান পাইলট।
দুবাই থেকে আগত এমিরেটস বিমানের ধাক্কায় মৃত্যু হল প্রায় ৪০ টি ফ্লেমিঙ্গোর। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের ঘাটকোপারের পন্তনগরের লক্ষ্মী নগর এলাকায়। জানা গেছে, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে ৫০৮ যাত্রিবাহী বিমানটি রাত ৯টা ১৮ মিনিটে ফ্লেমিঙ্গোর ঝাঁকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। যদিও বিমানটিকে নিরাপদে মুম্বই বিমানবন্দরে অবতরণ করান পাইলট।
মহারাষ্ট্রের বন বিভাগ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জানা গেছে, বন বিভাগের আধিকারিকরা মৃতদেহগুলি পাওয়ার জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন।বনবিভাগের আরেকটি দল এমিরেটস বিমানের পাইলটের বক্তব্য রেকর্ড করবে। বন দফতরের শীর্ষ কর্তা এস ভি রামারাও বলেন, বিমানবন্দরের আশেপাশে এমন দুর্ঘটনা অকল্পনীয়।
রামা রাও আরও জানিয়েছেন, “আমাদের দল ঘটনাস্থলে গিয়েছে এবং ফ্লেমিঙ্গোদের মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আমরা সেই পাইলটের বক্তব্যও রেকর্ড করব যিনি পাখিগুলির সঙ্গে বিমানের ধাক্কার কথা জানিয়েছিলেন।”
মনে করা হচ্ছে, ফ্লেমিঙ্গোদের ঝাঁক থানের ফ্লেমিঙ্গো অভয়ারণ্যের দিকে উড়ে যাওয়ার সময় বিমানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। অ্যাক্টিভিস্টদের মতে, নির্মাণ কাজ বা দূষণের কারণে ফ্লেমিঙ্গোগুলি তাদের উড়ানের পথ পরিবর্তন করতে পারে।
এনজিও বনশক্তির পরিবেশবিদ ডি স্ট্যালিন বলেন, “এনআরআই জলাভূমি, টিএস চাণক্য হ্রদগুলি ফ্লেমিঙ্গোদের আবাসস্থল৷ যদি কেউ বা কিছু লোক রাতের বেলা পাখিদের তাড়া করে, তবে তারা থানে খাড়ির দিকে উড়ে যেতে পারে এবং এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটেছিল।”
স্ট্যালিন আরও বলেন, “একজন জলাভূমি কমিটির সদস্য হিসাবে, আমি বারবার সরকারকে নভি মুম্বাইয়ের জলাভূমির কাছে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেটা দেখার জন্য অনুরোধ করেছি। জেলেদের ছদ্মবেশে বিল্ডার এজেন্টরা পাখিদের তাড়া করে বেড়ায়। এই ঘটনার ফৌজদারি তদন্ত হওয়া উচিত। এটা আমার কাছে একটি অদ্ভুত দুর্ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না।”